আমরা যারা উইন্ডোজ ব্যবহার করি, তারা কখনো ড্রাইভার সমস্যায় পড়িনি একথা বলা যাবে না। উইন্ডোজের ড্রাইভার সমস্যা একটি বড় সমস্যা। কারণ সঠিক ড্রাইভারটি খুঁজে পাওয়া না গেলে সংশ্লিষ্ট ডিভাইস ঠিকমতো কাজ করবে অথবা একেবারেই কাজ করবে না। সাধারণত কমপিউটারের যেকোনো ডিভাইস কেনা হলে তার সাথে সিডি বা ডিভিডিতে করে ড্রাইভার দিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু কোনো কারণে তা হারিয়ে গেলে অথবা অপারেটিং সিস্টেম পরিবর্তন করার ফলে যদি আগের ড্রাইভার কাজ না করে তাহলেই সমস্যার শুরু। খুব বেশি সমস্যা হয় যখন ৩২ বিট অপারেটিং সিস্টেম থেকে ৬৪ বিটের অপারেটিং সিস্টেমে পরিবর্তন করা হয়।
তবে এসব সমস্যার সমাধান করতে পারে ড্রাইভার ম্যাজিশিয়ান সফটওয়্যারটি। ড্রাইভার ম্যাজিশিয়ান প্রতিটি ডিভাইসের সঠিক ড্রাইভার খুঁজে বের করতে ও তা ইনস্টল করতে বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখে। তবে ড্রাইভার ম্যাজিশিয়ান কিন্তু ফ্রী নয়, তবে আমি আপনাদের জন্য ফুল ভার্সনটি শেয়ার করবো।
ড্রাইভার ম্যাজিশিয়ান ডাউনলোড লিঙ্ক - এখানে ক্লিক করুন ।
ফিচার
০১. সর্বমোট চারটি মোডে এই সফটওয়্যার ডিভাইস ড্রাইভারের ব্যাকআপ নিতে পারে।
০২. খুব সহজেই ড্রাইভার রোল ব্যাক করা বা পুরনো ড্রাইভারে ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
০৩. নিজে থেকেই ড্রাইভার আপডেট করতে পারে যাতে করে সিস্টেমের পারফরম্যান্স ও স্থায়িত্ব নিশ্চিত হয়।
০৪. খুব সহজেই ডিভাইসের ড্রাইভার আনইনস্টল করা যায়।
০৫. ডিভাইস ড্রাইভারের লাইভ আপডেটের ব্যবস্থা আছে।
০৬. পুরোপুরি অজানা ডিভাইসকে খুব সহজেই খুঁজে বের করতে পারে।
০৭. সিস্টেমের ডেস্কটপ ও মাই ডকুমেন্টস ফোল্ডার খুব সহজেই ব্যাকআপ নিতে পারে।
০৮. খুব সহজেই ব্যাকআপ নেয়া ফাইল ও ফোল্ডার রিস্টোর করতে পারে। ব্যাকআপ নেয়ার জন্য ফোল্ডার সিলেক্ট করে দিতে হয়। তাহলেই নিজে থেকেই ড্রাইভার ম্যাজিশিয়ান ব্যাকআপ নিয়ে নেবে।
০৯. নতুন করে অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল করার জন্য ড্রাইভারগুলোর ক্লোন করে রাখা যায়, যাতে পরবর্তী সেটআপের সময় ড্রাইভার ম্যাজিশিয়ান ইনস্টল না করেই কাজ করা যায় এবং এই ক্লোন এক্সিকিউটেবল ফাইল হিসেবে সেভ করে রেখে দেয়া যায়। শুধুই এক্সিকিউটেবল ফাইল নয়, ইনস্টলেশন শিল্ড উইজার্ড হিসেবেও ড্রাইভার সংরক্ষণ করা যায়।
তবে এই সফটওয়্যার যাতে ঠিকমতো কাজ করতে পারে সেজন্য সবার আগে সিস্টেমের ইন্টারনেট সংযোগ থাকা বাধ্যতামূলক।
আজ তাহলে এখানেই শেষ করলাম। ধন্যবাদ সবাইকে।
0 comments